রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্নে, তাদের পক্ষে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না কলাপাড়ায় জাকির স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সিকদার বাড়ি চ্যাম্পিয়ন কুয়াকাটায় একটি ইলিশ অনলাইনে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি কলাপাড়ায় নিম্নবিত্তদের স্বস্থি দিতে সরাসরি কৃষকদের সবজি বাজার গুজব ছড়ানোর আগে তিনি নিজের ভাই-বোন-পরিবারের কথা চিন্তা করতে বলেছে : স্নিগ্ধ কলাপাড়ায় পৌর ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ সভাপতি গোসাই – সম্পাদক বিকাশ।কলাপাড়ায় শ্রীগুরু সঙ্ঘের কমিটি গঠন মহিপুরে নসিমনের নিচে চাপা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু তথ্য পরিচালক মনিরুজ্জামানের মায়ের ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক কলাপাড়ায় আমন মৌসুমে উফসী জাতের ধানের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন শীর্ষক মাঠ দিবস সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিন বাহিনী প্রধান বাংলাদেশ প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত ঝালকাঠির রাজাপুরে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে মামলা দিতে থানায় গেলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ কলাপাড়ায় পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আলোকিত করা মাশরাফির ১৭ বছর

বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আলোকিত করা মাশরাফির ১৭ বছর

Sharing is caring!

অনলাইন ডেস্ক: আত্মীয়-বন্ধু বা পরিচিত জন এমন কয়েক ঘর ঘুরলে একাধিক মাশরাফি নামের বাচ্চা পাওয়া যাবে। আজ মা-বাবারা মাশরাফি নামেই খুঁজে পান ছেলের বড় হয়ে ওঠার স্বপ্ন। কিন্তু এই স্বপ্নটার শুরু হয়েছিল কবে তা জানতে যেতে হবে একটু পেছনে।

নড়াইল জেলার চিত্রা পাড়ের গ্রামের এক ছেলে। নাম তার কৌশিক। সারাদিন বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরা, আড্ডা, গাছে ওঠা, সাতার কাটা আর খেলা। এই খেলার নেই কোনো বাধা। ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন সব চলে। ক্রিকেটার হওয়ার নেই কোনো পরিকল্পনা। ব্যাট চালান নিজের ইচ্ছা মতো। বল করে তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। সেখান থেকেই পেয়ে যান ক্রিকেটের পথ।

জাতীয় দলে মাশরাফির সুযোগ পাওয়াটা বেশ নাটকীয়। প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় তার। সেই দিনটিই আজ মানে, ৮ নভেম্বর। ২০০১ সালের এই দিনেই জাতীয় দলের ২ নম্বর জার্সির কলার উঁচিয়ে দৌড়ের শুরু তার। এর আগে অবশ্য খেলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে হয়ে। খেলেছিলেন দেশের বয়সভিত্তিক আরও কয়েকটি দলে।

সে সময়ের শক্তিশালী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেই নিজেকে চিনিয়ে দেন ক্রিকেট বিশ্বে। সেই ম্যাচ বৃষ্টির কল্যাণে ড্র হয়ে গেলেও বল করার সুযোগ পান ১৮ বছরের মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর সেই সুযোগেই তুলে নেন ৪ উইকেট।

১৮ বছরের সেই যুবকের স্বপ্ন ছিল বিশ্বের দ্রুততম বোলার হওয়ার। শুধু স্বপ্ন দেখেই চুপ করে থাকেননি। ১৪০ কিলোমিটারের বেশি বেগে বল করে নিজের স্বপ্নের পথে চলার পথটাও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু সবার ভাগ্য তো আর সব সময় সঙ্গ দেয় না।

অভিষেকের বছরই পড়লেন হাঁটুর ইনজুরিতে। একাধিক অস্ত্রোপচার ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয় তার গতি। স্বপ্নের পরিধি কমলেও শেষ হয়নি স্বপ্ন। দুই হাঁটুতে সাতটি অস্ত্রোপচার করিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের জন্য। কাটিয়ে দিয়েছেন ১৭ বছর।

এই সময়ের মধ্যে শুধু বল হাতেই নয়, নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে গেলেন অন্যরকম উচ্চতায়। হলেন টেস্টের অধিনায়কও। কিন্তু ভাগ্য তার সেই সুযোগও কেড়ে নিল। ২০০৯ আবারও ইনজুরি। আর সেই ইনজুরির পর আর ফেরাই হলো না ক্রিকেটের সবচেয়ে গৌরবময় ফরম্যাটে। মাত্র ৩৬ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন সাদা পোশাকে। নেন ৭৮ উইকেট। অবসর না নিলেও ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

তবে সমান তালে দৌড়েছেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। কিন্তু হঠাৎ করেই গেলো বছরের এপ্রিলে ছাড়লেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটও। চালিয়ে যাচ্ছেন শুধুমাত্র ওয়ানডে ক্রিকেট। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলের সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর যেন পাল্টে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের রুপ।

গেলো চার বছরে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের জয়ের হার সবচেয়ে বেশি। একজন বোলার বা একজন অধিনায়কের বাইরেও মাশরাফি তার পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেকে প্রমাণে কমতি রাখেননি। ওয়ানডেতে উইকেটরক্ষকের বাইরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের মালিক তিনি (৫৬)। একই ফরম্যাটে এক হাজার বল খেলা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটও (৬৭.২০) তার।

মাশরাফিকে আসলে শুধু তার ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান বিচার করা ভুলই হবে। একজন ক্রিকেটার মাশরাফির চেয়েও একজন ব্যক্তি মাশরাফি মানুষের মনে বেশি জায়গা দখল করে আছে। আর সেই ভালোবাসা থেকেই মা-বাবারা স্বপ্ন দেখেন তার ছেলেও একদিন মাশরাফির মতো কিছু করে দেখাবেন।

স্বপ্ন তো থাকেই, মাশরাফির নিজেরও কি নেই? আছে তো বটেই। দেশ নিয়ে, দল নিয়ে, সন্তানদের নিয়ে তো থাকেই। নিজেকে নিয়েও আছে স্বপ্ন, কিন্তু তা যে খুব উচ্চাভিলাষী তাও নয়। শুধু স্বপ্ন দেখেন সেই আগের মতো কিছু ম্যাচ খেলার। শুধুমাত্র ট্রাউজার, জার্সি পরে বল হাতে দৌড়ানোর, কোনো নি-ক্যাপ, কোনো টেপ, কোনো ব্যথা থাকবে না। সেই ২০০১ এর মতো আরও একবার মাঠে নামার স্বপ্ন নিয়েই প্রতিদিন বিছানা থেকে পায়ের ব্যথা নিয়ে নামেন।

২০০১ সালে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ওয়ানডে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত মাশরাফি ১৯৯টি ম্যাচ খেলেছেন। ৪.৮২ ইকোনোমিতে পেয়েছেন ২৫২টি উইকেট। এছাড়া ৫৪টি টি-টোয়েন্টিতে তার উইকেট সংখ্যা ৪২টি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD